অনলাইন ডেস্ক : দেশ-বিদেশ যেখান থেকেই হোক, গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সংবাদকক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর প্রধান ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, দেশে যখনই কোনো বিশেষ পরিস্থিতি বা দুর্যোগময় পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন কিছু মানুষ গুজব সৃষ্টি করে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তারা জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণকে ভয়ার্ত করার অপচেষ্টা চালায়। একইসাথে একটি মহল এ ধরনের গুজব তৈরি করে সরকারকেও বেকায়দায় ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে।’
সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়গুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা এই কাজগুলো করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। একইসাথে আমাদের তথ্য অধিদপ্তর এই বিষয়গুলো নজরে রাখছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের যে গুজব প্রতিরোধ সেল রয়েছে, সেই সেলের কর্মকর্তারাও আজকে এখানে আছেন। এ বিষয়গুলো আজকে আমরা আলোচনা করেছি। দয়া করে কেউ গুজব তৈরির চেষ্টা করবেন না।’
শুধু দেশে নয়, বিদেশ থেকেও অনেক ধরনের গুজব তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিদেশে যে সমস্ত বাংলাদেশি নানা কারণে আছেন, তারা কিন্তু সবাই অত্যন্ত দেশপ্রেমিক। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কেউ যাদের দু-একজনকে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে গুজব সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
এদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা হয়তো মনে করছেন, তারা বিদেশে আছেন বিধায় তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং বাংলাদেশের নাগরিক যেখান থেকেই অপকর্ম করুন না কেন, সরকার আইনগতভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে এবং তা করবে।’
দেশের সকল গণমাধ্যমকর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে যখন দেশের সমস্ত মানুষ ঘরের মধ্যে অবস্থান করছে, তারা এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও মানুষের কাছে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই।’ তবে সঠিক তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য সংবাদকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো. মিজান উল আলমসহ তথ্য মন্ত্রণালয় ও এর জরুরি সংস্থাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।