অনলাইন ডেস্ক : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) ১৩তম আসর মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ২৯শে মার্চ। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে সেটি ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত।
সোমবার আইপিএলের ভবিষ্যত নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই)। সেটি হয়নি। বৈঠক না হওয়ায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও আসেনি। তবে ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেয়া সাক্ষাৎকারে বিসিসিআইয়ের ট্রেজারার অরুন ধামাল বলেছেন, আইপিএলে ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলার সঠিক সময় এখনো আসেনি।
ভারতজুড়ে লকডাউন চলছে। লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০শে এপ্রিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। পিটিআইকে অরুন ধামাল বলেন, ‘অনিশ্চিত একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা।
লকডাউন কবে শেষ হবে সেটা অজানা। সেটার সঠিক তথ্য না পেলে কিভাবে আমরা আইপিএলের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলব। আমরা ভারত সরকারের কাছ থেকে স্পষ্ট কিছু জানার পর আলোচনায় বসবো। আইপিএলের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলার সঠিক সময় এখনো আসেনি।’
আইপিএল পিছিয়ে চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে আয়োজন করা হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। সেটা নিয়ে বিসিসিআই ট্রেজারার বলেন, ‘প্রথমত, অস্ট্রেলিয়া যদি আরো ছয়মাস লকডাউন থাকে তাহলে কিভাবে তাদের ক্রিকেটাররা খেলতে আসবে? আমরা অন্যান্য বোর্ডের সিদ্ধান্তও বিবেচনা করছি।’ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) যদিও তাদের ক্রিকেটারদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিএ তাদের ক্রিকেটারদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কথা ভাবছে।
শুধু আইপিএলের আর্থিক লাভের বিষয়টির কথা চিন্তা না করে সবার সুরক্ষার কথা মনে করিয়ে দিয়ে অরুন ধামাল বলেন, ‘ভারতে যদি লকডাউন শেষ হওয়ার পরও বড় শহরগুলো করোনার ‘হটস্পট’ হিসেবে ঝুঁকির মধ্যে থাকে সেক্ষেত্রে কি হবে? আমরা তো ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না। আবার ক্রিকেটারদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতির সময়টাও দিতে হবে।’
‘আমরা যদি আইপিএল আয়োজন করার মতো অবস্থাতেও থাকি সেক্ষেত্রে সবার আগে ক্রিকেটারদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার মতো সময় আসেনি।’