স্টাফ রিপোর্টার : বকেয়া বেতন-ভাতার দাবীতে সাভার আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। পরে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার টেংগুরী পুকুরপাড় এলাকার গ্লোরিয়াস ড্রেস লিমিটেড, কলতাসূতী এলাকার ফ্রাউলেন ফ্যাশন লিমিটেড, কুটুরিয়া এলাকার জেড এ এ্যাপারেলস, টপগ্রেড ওয়াশিং লিমিটেড, পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার আদিয়াত এ্যাপারেলস লিমিটেড, নরশিংহপুর এলাকার ক্যাথে এপ্যারেলস লিমিটেড ও খেজুরবাগান এলাকার ক্রিস্টাল কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।
এরমধ্যে ক্যাথে এপ্যারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিকরা জানায়, কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের বেকেয়া বেতন-ভাতা দেই দিচ্ছি বলে ঘুরাচ্ছে। এরমধ্যে আবার করোনা ভাইরাসের কারনে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ফলে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছি বলেন বিক্ষুব্ধরা।
নরশিংহপুর এলাকার ক্যাথে এপ্যারেলস লিমিটেড কারখানার ফিনিশিং শাখার শ্রমিক রানা মিয়া জানান, জানুয়ারী মাস থেকে কারখানার দুই শতাধিক শ্রমিকের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। মালিক পক্ষ দেই দিচ্ছি বলেও ঘুরাচ্ছে। শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ন আন্তোনে শিল্প পুলিশ আচমকা টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। গ্যাসের কারনে ১৫/২০জন শ্রমিক আহত হয়েছে।
রানা মিয়া জানায়, আহতদের মধ্যে তিনি নিজে তার সহকর্মী আসমা, মমতাজ, নুর উদ্দিন, সাইদুল, সাকিল, আরিফ ও হুমায়ুনকে রিকশায় করে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন।
গামের্ন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারন সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ক্যাথে এপ্যারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে শিল্প পুলিশ মিছিলে হামলা করে।
তিনি আরও জানান, তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে শ্রম মন্ত্রনালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। সেখানে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, ১২ ও ১৬ধারা বাতিলের সুপারিশ ও শ্রমিকদের বকেয়া পরিষোধের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যাতা স্বীকার করে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সানা শামিনুর রহমান জানান, ৭/৮টা পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।