স্টাফ রিপোর্টার : সাভার উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সকল পোশাক কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধের সুপারিশ জানিয়েছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. সায়েমুল হুদা।
বৃহস্পতিবার সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান বরাবর-এ সংক্রান্ত একটি লিখিত আবেদন করেন তিনি।
ডা. সায়েমুল হুদা জানান, সাভার একটি জনবহুল ও শিল্পঅধ্যুষিত এলাকা। এই উপজেলা প্রায় ৫০ লাখ লোকের বসবাস, যার অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক।
পোশাক কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় সাভারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম ছিল। তবে কারখানা খোলার পর থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তাই সাভার উপজেলায় করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সাভার অঞ্চলের পোশাক কারখানাসহ উপজেলার প্রবেশ পথগুলো বন্ধ রাখা জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যত্থায় এই উপজেলায় করোনা ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯ জন। কারখানা খোলার পর গেলো ৭দিনে আাক্রান্ত হয়েছে আরও ১৪ জন। আর বৃহস্পতিবার আশুলিয়ার আক্রান্ত একই পরিবারের বাবা-ছেলেকে মিরপুরের মাতৃসদনে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. সায়েমুল হুদা বৃহস্পতিবার রাতে তার ফেইসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আশুলিয়া এলাকার একই পরিবারের বাবা-ছেলের করোনা পজেটিভ হওয়ায় তাদের মাতৃসদনে ভর্তি করা হয়েছে। ‘কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাতে চাই ওই পরিবারের উপর প্রতিবেশীরা হামলা করেছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।’