জানুয়ারি ১৩, ২০২৫


টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকার হানা

টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকার হানা

অনলাইন ডেস্ক : টেকনাফে পঙ্গপাল সদৃশ পোকা হানা দিয়েছে এক ব্যক্তির বাড়ীর আম গাছসহ বিভিন্ন প্রকারের গাছে। ভিটের আম গাছের অবস্থা দেখতে গিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পঙ্গপাল সদৃশ শত শত পোকা দেখতে পান সোহেল সিকদার। তার বাড়ী টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামে।

ইতিমধ্যেই কক্সবাজার জেলা কৃষি উপ-পরিচালক আবুল কাশেম ও টেকনাফ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পোকাটি সনাক্তকরণের জন্য সংগ্রহ করেছেন। শুক্রবার ওই স্থানে আবারো পরিদর্শনের কথা রয়েছে।

পোকাটি দেখতে ফড়িং এর মতো। এটি উড়তে পারেনা লাফিয়ে লাফিয়ে চলাচল করে। এভাবে শত শত পোকা আম গাছ, তেরশল গাছসহ অন্যান্য বেশ ক’টি গাছের পাতা নষ্ট করেছে। কোথাও কোথাও শাখা ছাড়া কোনো পাতা নেই। আবার কোথাও কোথাও পাতা ঝলছে গেছে। ভিটের জমিতেও শত শত পোকা।

গত ২০ এপ্রিল হতে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক স্প্রে করা হয়।

পোকার আক্রমণ কমে গেলেও তা পুরোপুরি শেষ হয়নি। বৃহস্পতিবার পোকার আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কৃষি বিভাগের লোকজন এসে নতুনভাবে কীটনাশক স্প্রে করে চলে যায়। শুক্রবার এর ফলোআপ করা হবে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এই পোকার আক্রমণে ভিটের বেশ ক’টি গাছের কাঁচা পাতা নষ্ট হয় যায়। দেখতে অনেকটা পঙ্গপালের মতো শত শত পোকা দল বেধে গাছের পাতা ও শাখায় বসে একের পর এক গাছের পাতা খেয়ে ফেলছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে বাড়ির মালিক।

এদিকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা বলেছেন, এটি পঙ্গপাল না হলেও ক্ষতিকর পোকা। এটি দমন করার জন্য শুরু থেকে কীটনাশক স্প্রে করতে প্রয়োজনীয় পরার্মশ দিয়ে আসছিল কৃষি বিভাগ।

তিনি সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান লতাপাতা, আগাছা থেকে শুরু করে শুকনো পাতা, কাঁচা পাতা ও গাছের শাখা-প্রশাখায় সারি সারি পোকা। কোথাও গাছের শাখা আছে পাতা নেই। আবার কোথাও পাতা ঝলসে গেছে। কোথাও পাতায় পোকায় খাওয়ার মতো ছিদ্রযুক্ত। একটি গাছের নিচে রয়েছে কিছু ছাই যা কিনা আগুন জ্বালিয়ে পোকা দমনের চেষ্টা করেছে পরিবারটি।

বাড়ির মালিক সোহেল সিকদার বলেন, ‘গাছের নিচে ঝোপঝাড়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পোকার আক্রমণ হতে রক্ষার চেষ্টা করেছিলাম প্রথম দিকে। পরে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কীটনাশক স্প্রে করে পোকা দমনের চেষ্টা করা হয়। প্রায় দমনই হয়ে গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ফের পোকা দেখা যায়।’

টেকনাফ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম বলেন, ‘পঙ্গপালের মতো অনেকটা এই পোকা। কাঁচা পাতা খেয়ে ফেলছে তাই এটি ক্ষতিকর পোকা। এসব পোকা যাতে অন্য কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য কীটনাশক স্প্রে করা হয়। এরপর অনেকটা পোকা দমন হয়ে যায় কিন্তু আবার পোকা দেখা যাওয়ায় নতুন করে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। আজ শুক্রবার এ বিষয়ে ফলোআপ করা হবে।’

এছাড়া কক্সবাজার জেলা পর্যায় হতে কীটতত্ত্ববিদ এসে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *