
অনলাইন ডেস্ক : করোন ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে ব্রাজিলে একদিনে অন্তত ৮৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির করোনা মহামারির ইতিহাসে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
মঙ্গলবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমনটা জানিয়েছেন। তারা আরো বলেন, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজারের বেশি মানুষ। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির হিসাব অনুসারে, এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১২ হাজার ৪০০ জন। আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৭৮ হাজার ২১৪ জন।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতের সংখ্যায় এই বৃদ্ধি থেকে বোঝা যায় যে, লাতিন আমেরিকায় করোনা মহামারির কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে ব্রাজিল। করোনায় বিশ্বের মধ্যে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে সেখানে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে পর্যাপ্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরো অনেক বেশি।
ইউনিভার্সিটি অব সাও পাওলো মেডিক্যাক স্কুলের দমিঙ্গো আলভেস বলেন, ব্রাজিল কেবল হাসপাতালে যাওয়া মানুষের পরীক্ষা করছি। বিদ্যমান তথ্যের ভিত্তিতে, দেশটিতে আদতে কী হচ্ছে সে বিষয়ে জানা খুবই কঠিন। মহামারিটি নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো সত্যিকার নীতিমালা নেই।
আলভেস ও অন্যান্য গবেষকরা এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ব্রাজিলে করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি হিসাবের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে করোনার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে দুই আমেরিকা মহাদেশ। আসন্ন সপ্তাহগুলোতে ওই অঞ্চলগুলোয় সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো ভাইরাসটির ঝুঁকি প্রশমনে যথাযথ গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, এটি নিয়ন্ত্রণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষপাতী গভর্নর ও মেয়রদেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন। চলতি সপ্তাহে এক ডিক্রি জারি করে, ব্যায়ামগার ও সেলুনের মতো ব্যবসাকে ‘অপরিহার্য’ সেবার শ্রেণিভুক্ত করেছেন। অর্থাৎ, লকডাউনের মধ্যেও এই ব্যবসাগুলো চালু রাখার অনুমোদন দিয়েছেন।
কিন্তু অন্তত ১০ জন গভর্নর জানিয়েছেন, তারা বলসোনারোর নির্দেশ মানবেন না। তাদের উদ্দেশ্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলসোনারো লিখেছেন, যেসব গভর্নর তার নির্দেশ মানতে চান না, তারা চাইলে আদালতে মামলা করতে পারে।