এপ্রিল ২০, ২০২৪


স্কুল-কলেজে সব শিক্ষকের আসা বাধ্যতামূলক নয়

স্কুল-কলেজে সব শিক্ষকের আসা বাধ্যতামূলক নয়

অনলাইন ডেস্ক: মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে শিক্ষকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে।

গত সেপ্টেম্বরে মাউশির এক চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব শিক্ষকদের আসতে বাধ্য করে আসছিলো প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে বাধ্য করায় শিক্ষক সমাজের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন উইং জানিয়েছে, সব শিক্ষকের স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই। চিঠিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং হতে গত ২২ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষা কার্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ আকস্মিক পরিদর্শন’ শিরোনামে পত্র জারি করা হয়।

উক্ত পত্রে করোনাকালীন পরিদর্শন তথ্য ছকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য এর ১১নং ক্রমিকে বর্ণিত সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়মিত উপস্থিত থাকেন কি না— এ বিষয়টি স্পষ্টীকরণের লক্ষ্যে বলা হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারী বলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ল্যাব ও আইসিটি উপকরণসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ ও সচল রাখা, নিয়মিত পতাকা উত্তোলন ও নামানো, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি মনিটরিং ইত্যাদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মচারীদের বোঝানো হয়েছে, এ অর্থে সকল শিক্ষক নয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইং) প্রফেসর মো. আমির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠি অধিদপ্তরের সকল আঞ্চলিক পরিচালক, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিবের দপ্তরে বিষয়টি অবহিত করে চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়।

করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ হতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে অনলাইন, টিভি, বেতারে ক্লাস পরিচালনা করছেন শিক্ষকরা। এসব একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় শিক্ষকদের সবার স্কুলে আসার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *