এপ্রিল ১৯, ২০২৪


উইন্ডিজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া

উইন্ডিজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া

অনলাইন ডেস্ক:টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে প্রস্তুতিটা মোটেও ভালো হচ্ছে না অজিদের। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও সফরকারীদের হারিয়েছে উইন্ডিজরা। ৫৬ রানের জয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো রাসেল-ব্রাভোরা।
প্রথমে ব্যাট কওে ৪ উইকেটে ১৯৬ রান সংগ্রহ কওে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১৪০ রানে।
এদিন টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান অজি অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেনি স্বাগতিকরা। দলীয় ৯ রানেই প্রথম উইকেট হারায় তারা।৭ বলে ৯ রান করে ক্রিজ ছাড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার। আলো ছড়াতে পারেননি ক্রিস গেইলও। ১৬ বলে ১৩ রান করে মিচেল মার্শের উইকেটে পরিণত হন ইউনিভার্স বস। তার আগে লেন্ডল সিমন্স ফেরেন ২১ বলে ৩১ রান করে। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শিমরন হেটমায়ার ও ডুয়ানো ব্রাভো গড়েন ৬১ বলে ১০৩ রানের জুটি। ৩৬ বলে ৬১ করে হেটমায়ার আউট হলে ভাঙে জুটিটি।
১৩ বল বাকি থাকতে মাঠে নামেন আন্দ্রে রাসেল। ঝড়ো ইনিংসে ২ চার ও ২ ছক্কায় রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে অপরাজিত ২৪ রান। অপরপ্রান্তে ব্রাভো অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৪৭ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ১টি চার ও ৩টি ছক্কা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি করে উইকেট পান মিচেল মার্শ, এগার ও জশ হ্যাজেলউড। মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৯ রান।
বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। রানের খাতা খোলার আগেই শেলডন কটরেলের উইকেটে পরিণত হন ম্যাথু ওয়েড। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ফেরেন ফিদেল এডওয়ার্ডসের বলে। ক্রিজ ছাড়ার আগে ৮ বলে করেন ৬ রান। হেইডেন ওয়ালশের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন জশ ফিলিপও। ৫৮ রানে ৩টি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মিচেল মার্শ। ৪২ বলে ৫৪ রান কওে ওয়ালশের উইকেটে পরিণত হন তিনি। মার্শ আউট হলে বিপদে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
শেষ ওভারে বল করতে আসেন ক্রিস গেইল। জশ হ্যাজলউডকে বোল্ড করে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ইতি টানেন ইউনিভার্স বস। সফরকারীরা অলআউট হয় ১৪০ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩ উইকেট নেন ওয়ালশ। দুই উইকেট পান কটরেল। একটি করে উইকেট শিকার করেন ব্রাভো, রাসেল ও গেইল। ম্যাচ সেরা হন হেটমায়ার।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *