মে ০১, ২০২৪


শ্যালককে হত্যা করে ছদ্মবেশে সাভারে ৯ বছর, অতপর গ্রেফতার

শ্যালককে হত্যা করে ছদ্মবেশে সাভারে ৯ বছর, অতপর গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জে শশুরের কাছে ব্যবসার জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে একমাত্র শ্যালককে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামী হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজকে দীর্ঘ ৯ বছর পর সাভার থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার দিবাগত রাতে সাভার পৌর এলাকার ওয়াপদা রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজ (৩৫) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার ডাঙ্গাপুর কালীবাড়ী গ্রামের মৃত আ. গাফফার রহমানের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, দীর্ঘ ৯ বছরের মধ্যে পলাতক হাফেজ তার নাম ও বাবার নামসহ যাবতীয় ঠিকানা পরিবর্তন করে মো. নবী হোসেন, ধামরাই থানার চৌহাট বাইনা গ্রামের মো. মেহেদী হাসানের ছেলে পরিচয়ে বসবাস করে আসছিলো। ২০১১ সাল থেকেই এই ঠিকানা ব্যবহার করে সাভারে বসবাস করলেও কারও কোন সন্দেহ হয়নি।

র‌্যাব-৪ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, হাফিজুর রহমান ওরফে হাফেজ ২০০৬ সালে সোনারগাঁও থানা এলাকার হাজী মোঃ আব্দুল্লাহ এর মেয়ের রিভা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ব্যবসা জন্য শশুরের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবী করেন। টাকা না দেওয়ায় একমাত্র শ্যালক মো. মাহফুজুর রহমান ওরফে রিফাত (১৯) কে কৌশলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ২০১১সালে ২৮ এপ্রিল বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যা করে।

এঘটনায় মেয়ে জামাই হাফিজুরকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের পহেলা মে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা হাজী মোঃ আব্দুল্লাহ। মামলার ৫আসামী গ্রেফতার হলেও পালিয়ে যায় প্রধান আসামী হাফিজুর।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর ছদ্মবেশে নতুন পরিচয়ে সাভারে বসাবাস করে আসছিলো সে। পরে গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর নিজের আসল পরিচয় অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে নিজের পরিচয় নিশ্চিত করে হাফেজ।

সে সাভারের জমি কেনাবেচার ব্যবসার পাশাপাশি ধামরাই একটি কারখানায় চাকরি করত।

Related posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *